মাস গেলে ৬০-৭০ হাজার আয়, দেখুন ৬ দারুণ ব্যবসার আইডিয়া – Business Idea

Business Idea : আমরা সকলে জানি বর্তমান সময়ে চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে অনেকেই বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজছেন। যদি আপনি চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে থাকেন, তবে এবার নিজেই একটি ব্যবসা শুরু করে স্বনির্ভর হওয়ার কথা ভাবতে পারেন। নিচে কয়েকটি সম্ভাবনাময় ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, যা কম বিনিয়োগে শুরু করে মাসে ৬০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে সহায়তা করতে পারে।

Business idea

১. আগরবাতি তৈরির ব্যবসা

আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই আগরবাতি ব্যবহৃত হয়, যা এই পণ্যের জন্য একটি স্থায়ী বাজার সৃষ্টি করেছে। বাড়ি থেকেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব এবং প্রাথমিকভাবে ৪০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা বিনিয়োগে এটি শুরু করা যায়। সঠিক পরিকল্পনা ও সুগন্ধি বৈচিত্র্যের মাধ্যমে মাসিক ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

২. মেডিকেল কুরিয়ার সার্ভিস

বর্তমান সময়ে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, বয়স্ক ও ব্যস্ত মানুষদের জন্য ওষুধ সরবরাহ সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একটি বাইক ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন সংগ্রহ করে ওষুধ সরবরাহের মাধ্যমে আপনি সেবা চার্জ এবং ফার্মেসি থেকে কমিশন উভয়ই উপার্জন করতে পারেন।

৩. ইউক্যালিপটাস চাষ

যদি আপনার নিজস্ব বা রেন্ট জমি থাকে, তবে ইউক্যালিপটাস বা নীলগিরি গাছের চাষ একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রায় ২৫,০০০ টাকা বিনিয়োগে এই চাষ শুরু করা যায় এবং পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় ৭২ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এই গাছের কাঠ হার্ডবোর্ড, ফার্নিচার ও অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

৪. অনলাইন টিউশন বা প্রশিক্ষণ

যদি আপনার কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টিউশন বা প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারেন। এটি কম বিনিয়োগে শুরু করা যায় এবং সঠিক প্রচারণার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য আয় করা সম্ভব।

৫. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

বর্তমানে অনেক ছোট ও মাঝারি ব্যবসা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি বাড়াতে আগ্রহী। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষ হন, তবে এই ব্যবসা শুরু করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করতে পারেন।

৬. পোষা প্রাণীর সেবা

পোষা প্রাণীদের দেখাশোনা, প্রশিক্ষণ বা গ্রুমিং সেবা প্রদান করে একটি লাভজনক ব্যবসা গড়ে তোলা যায়। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কম এবং সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্থায়ী গ্রাহক তৈরি করা সম্ভব।

ব্যবসা শুরু করার পূর্বে বেশকিছু বিবেচ্য বিষয়সমূহ

  • বাজার গবেষণা: নির্দিষ্ট ব্যবসার জন্য বাজারে চাহিদা ও প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানা দরকার।
  • ব্যবসায়িক পরিকল্পনা: একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, যাতে লক্ষ্য, কৌশল ও আর্থিক পূর্বাভাস নির্ধারিত থাকতে হবে।
  • আইনি অনুমোদন: প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
  • বিনিয়োগ ও বাজেট: প্রাথমিক বিনিয়োগ ও চলমান খরচ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে।
  • মার্কেটিং কৌশল: সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার সেবা বা পণ্যের প্রচার করতে হবে ।

Leave a Comment